হাজার বছর আগে, বিভিন্ন পশু-পাখির আক্রমণের ধরনকে অনুকরণ করে আবিস্কার হয় এনিম্যালস কুংফু। যা রপ্ত করতে প্রয়োজন হতো কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ এবং একনিষ্ঠ সাধনা। প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে, এনিম্যালস কুংফুগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় শাওলিন ফাইভ এনিম্যালস কুংফু। শাওলিন ফাইভ এনিম্যালসের ভেতর থাকতে পারে টাইগার, স্নেক, ক্রেন, ঈগল, প্রেয়িং মেন্টিস; কোথাও আবার ঈগল বাদ দিয়ে লিওপার্ড রাখা হয়। মাংকি এনিম্যালস কুংফু ফাইভ এনিম্যালসের অন্তর্ভুক্ত না, এটি কেন অন্তর্ভুক্ত না তা বিশ্লেষন করতে পারবেন শিক্ষকরা। এধরনের স্টাইলগুলো মার্শাল আর্ট এর মধ্যে আজো অদ্বিতীয়।
ক্রেন কুংফুর মধ্যে ২ ধরনের স্টাইল বেশি প্রচলিত। হোয়াইট ক্রেন স্টাইল এবং গ্রিন ক্রেন স্টাইল। হোয়াইট ক্রেন এর হাতের ব্যবহারে হয় ৩ ভাবে-
১/ ১ হাতের আঙ্গুল সবসময় খোলা থাকবে যেটা ক্রেনের পাখার কাজ করবে।
২/ মুষ্ঠি করে অ্যাটাক করা,
৩/ তিনটি আঙ্গুল এক সাথে সোজা থাকবে, ২ টি আঙ্গুল জমিয়ে রাখবে।
গ্রিন ক্রেনের হাতের ব্যবহার হয় ২ ভাবে-
১/ এক হাতের আঙ্গুল খোলা থাকবে যা ক্রেনের পাখার কাজ করবে।
২/ অন্য হাতের তিনটি আঙ্গুল দিয়ে প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গায় অ্যাটাক করবে।
২টি ক্রেন এরই কিক, জাম্প, অন্যান্য শৈল্পিকতা আছে। বর্তমানের সুপ্রতিষ্ঠিত মার্শাল আর্ট স্টাইল জাপানিজ কারাতের সৃষ্টি হয় হোয়াইট ক্রেন থেকে। এর বাইরেও ২/১টি মার্শাল আর্ট স্টাইলে হোয়াইট ক্রেন এর অসংখ্য মুভ আছে। লড়াই এর ক্ষেত্রে হোয়াইট ক্রেন কাছাকাছি থেকে খুবই সহজে ও আক্রমণাত্বকভাবে ডিফেন্স ও অ্যাটাক করে। কিন্তু হোয়াইট ক্রেন থেকে যেসব স্টাইল সৃষ্টি হয়েছে, তারমধ্যে ক্রেন এর মতো নান্দনিকতা ও আক্রমন দেখা যায়না।
বিঃদ্রঃ ছবিতে আমাদের ৪ জন শাওলিন এনিম্যালস কুংফু শিক্ষার্থী একটি হোয়াইট ক্রেন ফর্ম এর চারটি মুভ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। শাওলিন এনিম্যালস কুংফু আফতাবনগর শাখায় অনুশীলন চলছে।